জনসমুদ্রের জোয়ারে লুটেরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটবে: নিতাই রায়

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে খুলনা মহানগর বিএনপি। আজ বেলা ১১টার দিকে নগরের কে ডি ঘোষ সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনেছবি: প্রথম আলো

খুলনার শিল্পাঞ্চলকে সরকার শ্মশানে পরিণত করেছে অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ বিএনপি ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচির সমর্থনে রাজপথে নেমে এসেছে। এই জনসমুদ্রের জোয়ারেই লুটেরা পদলেহনকারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটবে।

আজ শনিবার খুলনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় এ কথা বলেন। বেলা ১১টার দিকে নগরের কে ডি ঘোষ সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচি পালিত হয়।

গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক কর্মীর মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে আজ দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

খুলনার মানববন্ধনে নিতাই রায় অভিযোগ করেন, বিদেশি প্রভুদের ইশারায় এই সরকার বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতান্ত্রিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত করেছে। রমজান মাস সমাগত, বাজারে দ্রব্যমূল্য পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। তাকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এই সরকারের নেই। জনমনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। তারা চায় পরিবর্তন।

কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী বলেন, কারও অনুকম্পা নিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না। দেশের জনগণ জেগে উঠেছে। জনগণই তাঁকে মুক্ত করে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনবে। দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বাড়ছে। তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে।

আজকের আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালের রাজাকার, আলবদর, শান্তিবাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে অভিযোগ করে আজিজুল বারী বলেন, বিএনপি যখন জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে কর্মসূচি দেয়, সে সময় ব্যর্থ লুটেরা আওয়ামী লীগ শান্তি মিছিলের নামে শান্তিবাহিনীর ভূমিকায় নেমেছে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান, বিএনপি নেতা শেখ আবু হোসেন, এস এ রহমান বাবুল, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, আবদুর রকিব মল্লিক, শের আলম, মোস্তফা উল বারী, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, অধ্যাপক মনিরুল হক, মাহবুব হাসান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম, একরামুল হক, আশরাফুল আলম খান, মাসুদ পারভেজ, শেখ সাদী, এনামুল হক, অধ্যাপক গাজী আবদুল হক প্রমুখ।