বগুড়ায় জালিয়াতির শিকার সেই ২৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ

বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তির মেধাতালিকায় নাম না থাকার পরও টাকার বিনিময়ে ভুয়া ভর্তি দেখানো সেই ২৫ শিক্ষার্থী আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জালিয়াতির শিকার শিক্ষার্থীদের ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ুন কবির আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ বিশেষ বিবেচনায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

সরকারি শাহ সুলতান কলেজের তিন কর্মচারী জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ভর্তি দেখিয়ে ২৫ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে আরও এক দফা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। গত ১৭ আগস্ট এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, তাঁদের প্রবেশপত্র আসেনি। পরে জালিয়াতির বিষয়টি ফাঁস হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন কর্মচারী হারুনুর রশিদ, আমিনুল ইসলাম ও আবদুল হান্নান ছাড়াও ছাত্রলীগ কর্মী কাওছার আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন রাশাদুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী। র‍্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ুন কবিরকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এবং সরকারি শাহ সুলতান কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রধান আবদুল জলিলকে প্রধান করে কলেজ প্রশাসন তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড প্রতারণার শিকার শিক্ষার্থীদের আগামী বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।