তিন দাবিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দাবিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তোলাছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা দিকে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে এ ঘোষণা দেন তাঁরা। এর আগে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন।

শিক্ষার্থীদের অন্য দুটি দাবি হলো ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানকে টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানব না’, ‘ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, বৈষম্য নো মোর’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফারহানা জেবিন বলেন, ‘ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য আমাদের ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য ঢাকায় গিয়ে নিজেদের খরচ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে যদি ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু করা হয়, তাহলে কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে। বিভাগ প্রতিষ্ঠার ১০ বছর হয়ে গেলেও এখনো এসব নিয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।’

শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী  সুমন আলী বলেন, বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যে শুধু চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স করা শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। তবে বিভিন্ন কারণে সেই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ২০২৫ সালে প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হলে, সেখানে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের কোনো শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

সুমন আলীর অভিযোগ, তাঁদের বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এনামুল হক মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। উনি এই পদে আসার পর শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারের শর্ত পরিবর্তন করেছেন। তাঁরা ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে শাটডাউন চলবে।

এসব বিষয়ে জানতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।