মুন্সিগঞ্জে ঘুমন্ত যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিহত যুবকের স্বজনের আহাজারি। গতকাল বুধবার সকালে
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পূর্ববিরোধের জেরে ঘুমন্ত এক যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত শ্যামল ব্যাপারীর (২৭) বড় ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর সদর থানায় এই মামলা করেন। এই মামলায় মো. ইমরান হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নে পূর্বরাখির কান্দি এলাকায় গত মঙ্গলবার রাত একটার দিকে শ্যামল ব্যাপারীদের বাড়িতে হামলা চালান প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় ঘুমন্ত অবস্থায় শ্যামল ব্যাপারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি ওই এলাকার আবদুল গণি ব্যাপারীর ছেলে।

মুন্সিগঞ্জের (সদর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে নিহত যুবকের বড় ভাই বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে এজহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন

পুলিশ ও নিহত যুবকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক মাস আগে শ্যামলের দুলাভাই ইসমাঈলের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই শাহাদাত ব্যাপারীদের ঝগড়া হয়। সে সময় ইসমাঈল ব্যাপারীকে পিটিয়ে এলাকাছাড়া করেন শাহাদাত ও তাঁর লোকজন। এর মাসখানেক পর শাহাদাত ব্যাপারীকে পিটিয়ে এলাকাছাড়া করেন ইসমাঈল ব্যাপারী ও তাঁর লোকজন। এর জেরে শ্যামল ব্যাপারীদের সঙ্গেও বিবাদে জড়ান শাহাদাত ব্যাপারীরা। গত ফেব্রুয়ারিতে শ্যামলদের চার ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শ্যামলরা থানায় মামলা করলে শাহাদাত ব্যাপারী আরও ক্ষুব্ধ হন। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাত একটার দিকে শাহাদাত ব্যাপারী ও তাঁর লোকজন শ্যামলের বাড়িতে হামলা চালান। সে সময় ঘুমন্ত অবস্থায় শ্যামল ব্যাপারীর চার হাত-পা ভেঙে, এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

শ্যামলের বড় ভাই সোহাগ ব্যাপারীর বলেন, ‘শাহাদাত ব্যাপারীর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক ছিল। শাহাদাতের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে শাহাদাতের ঝগড়া ছিল। আমরা কারও পক্ষে যাইনি। অথচ আমাদের চার ভাইকে একবার কোপাল। মঙ্গলবার আমার ভাইটাকে কত কষ্ট দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করল। শাহাদাত ব্যাপারীসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সভার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি।