শেরপুর সদর হাসপাতালের লিফটে আটকে চারজন অসুস্থ, দরজা ভেঙে উদ্ধার

শেরপুরে সদর হাসপাতালের লিফট আটকে গেলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে থাকা রোগী ও স্বজনদের উদ্ধার করেন। শুক্রবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

শেরপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে লিফটের দরজা ভেঙে ভেতরে থাকা রোগী ও স্বজনদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। আজ শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের নয়তলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অসুস্থ চারজনের মধ্যে নকলা উপজেলার বাছুর আলগা গ্রামের মো. নাঈমকে (২১) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অসুস্থ নাঈম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন বলে জানা গেছে।

হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা দেড়টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালের নয়তলা ভবনের একটি লিফটে ১৮ থেকে ২০ জন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা ওপরতলা থেকে নিচতলায় নামছিলেন। কিন্তু ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী লিফটে থাকায় ভবনের নিচতলায় এসে লিফটটি আটকে যায় এবং স্বয়ংক্রিয়–পদ্ধতিতে দরজা না খুলে আটকে থাকে। দরজা না খোলায় লিফটের ভেতরে থাকা রোগী ও স্বজনেরা আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করেন। ঘটনার সময় হাসপাতালের লিফটম্যান শফিকুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলাম হাসপাতাল ভবনে ছিলেন না। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করে লিফটের দরজা ভেঙে আটকাপড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন।

এ সময় আতঙ্ক ও গরমে অন্তত চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, লিফটম্যান যথাযথভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করলে এমন ঘটনা ঘটত না। এর আগেও লিফটম্যানের অবহেলার কারণে একাধিকবার লিফটে আটকা পড়ার ঘটনা ঘটেছিল।

তবে লিফটম্যান শফিকুল ও আতিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় তাঁরা হাসপাতালের মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করছিলেন। লিফটের ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ১৪ জন। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই রোগী ও স্বজন মিলে ১৮ থেকে ২০ জন লিফটে ওঠানামা করেন। ফলে লিফটটি আটকে যায়।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মো. তারেক বলেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায় লিফটটি আটকে যায়। খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে লিফটের দরজা ভেঙে ১৮ থেকে ২০ জনকে উদ্ধার করেন। এ সময় চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।