সিলেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন, পাঁচ ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচটি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সিলেটে নগরের আম্বরখানা, বটেশ্বর এবং গোলাপগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার প্রায় এক লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও চার–পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির।
এদিকে দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। এর আগেই বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে ফেলে রাখা মালামাল থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি সিলেট মহানগর পুলিশের সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের অংশে ৩৩ কেভি লাইনের নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় এয়ার ফিল্টার স্তূপ আকারে রাখা ছিল। এর ওপর সকাল পৌনে নয়টার দিকে বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের ফুলকি নিচে পড়ে। এতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এয়ার ফিল্টারগুলো দাহ্য হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আরও চারটি ইউনিট কাজে যোগ দেয়। এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেট স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, সিলেট ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কাজ শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে সিলেট নগরের আম্বরখানা-১, আম্বরখানা-২ ও শহরতলির বটেশ্বর এবং গোলাপগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার বিদ্যুৎ ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এসব ফিডার এলাকার প্রায় এক লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কয়েকটি লাইন আগুনে গলে যাওয়ায় মেরামত করতে কিছুটা সময় লাগবে। এ জন্য চার–পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।