চট্টগ্রামের বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি
চট্টগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা বিএনপির এক প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে আজ সোমবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগর ও নগর-সংলগ্ন এলাকা নিয়ে গঠিত ৬টি আসনের মধ্যে ৫টির রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে চট্টগ্রাম-১০ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমান মনোনয়নপত্র জমা দিতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে আসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে এক থেকে দেড় শ নেতা-কর্মী ছিলেন। তাঁরাও প্রার্থীর সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চান। তখন পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে কয়েকজনকে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন সাঈদ আল নোমান। তখনো তাঁর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি নেতা-কর্মী ছিলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৯(ঘ) ধারা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল, শোডাউন করা যাবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পাঁচজনের বেশি থাকতে পারবেন না।
জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমান বলেন, মানুষের এই ভালোবাসা-আবেগ চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। তাঁর বাবার আমল থেকে তা দেখে আসছেন। তবে এটি একদিকে যেমন অর্জন, তেমনি বিব্রতকরও। এমন পরিস্থিতির কারণে বিব্রত হয়েছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে সাঈদ আল নোমান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জনসেবার জন্য এসেছেন। সেবার কাজটি করে যেতে চান সব সময়। এই মুহূর্তে জয়-পরাজয়ের বিষয়টি মাথায় আসছে না। জনসেবা করতে চান। এটি করতে পারলে রাজনীতির সিংহভাগ কাজ হয়ে যাবে।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ সোমবার। মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে পরদিন ২১ জানুয়ারি। ২২ জানুয়ারি প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা। চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।