রাজশাহী-নওগাঁ সড়কের সেই সাইনবোর্ডগুলো সরানো হলো

রাজশাহী–নওগাঁ সড়কের গাছগুলোতে পেরেক দিয়ে লাগানো সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলেছে বন বিভাগ। আজ বিকেলে রাজশাহীর মোহনপুর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী-নওগাঁ সড়কের দুই পাশে সারি সারি গাছে পেরেক মেরে টাঙানো সাইনবোর্ডগুলো অপসারণ করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে সাইনবোর্ডগুলো সরানো হয়েছে।

আজ বুধবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘রাজশাহী-নওগাঁ সড়কের গাছগুলো যেন সাইনবোর্ডের খুঁটি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিকেলের দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ডগুলো আর নেই। শুধু একটি তালগাছে রাজনৈতিক নেতার একটি সাইনবোর্ড দেখা যায়। আর কিছু সাইনবোর্ড বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে রয়েছে।

আরও পড়ুন

রাজশাহী-নওগাঁ সড়কের নওহাটা সড়কের দুই পাশে ৫০ হাজারের বেশি জারুল, কাঞ্চন, আকাশমণি, আম ও কাঁঠালগাছ লাগিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বৃক্ষপালন বিভাগ। গাছগুলো সদ্য বেড়ে উঠছে। গাছগুলোয় এখন পেরেক গেঁথে বিভিন্ন সাইনবোর্ড লাগানোর হিড়িক পড়েছে। বিশেষ করে বাজার বা জনবসতি এলাকায় সাইনবোর্ডের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে কোচিং সেন্টারের সাইনবোর্ড, রাজনৈতিক নেতার সাইনবোর্ড ও পোশাক বিক্রির দোকানের ঠিকানা বদলের সাইনবোর্ড।

রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ বিষয়টি নজরে আনার জন্য তিনি প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান। আর কোথাও যদি সাইনবোর্ড থাকে, তাহলে তিনি তাঁকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।
রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশের গাছে এভাবেই পেরেক দিয়ে সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। গত শনিবার দুপুরে রাজশাহীর মোহনপুর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

মোটরসাইকেলে রাজশাহী-নওগাঁ সড়ক ধরে চলতে চলতে মোটামুটি একটা হিসাব করে দেখা গেছে, রাজশাহীর নওহাটা থেকে মোহনপুরের কেশরহাট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কে ১২৮টি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। মোহনপুর উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে সাঁকোয়া পর্যন্ত ৪৭টি এবং মোহনপুর সদর থেকে উত্তরে কেশরহাট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কে ৭৭টি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। পুরো সড়কে এভাবে কোথাও কম, আবার কোথাও ঘন করে সাইনবোর্ড লাগানো দেখা যায়। পেরেক গেঁথে সাইনবোর্ড লাগানোর ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের কোনো মাথাব্যথা নেই। কেউ এর প্রতিবাদ করেন না।

আগের প্রতিবেদনটির জন্য আগে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহের বক্তব্য নেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি সাইনবোর্ডগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজ সন্ধ্যায় তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পরই তিনি গাছ থেকে সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু ওই সড়ক নয়, তাঁদের যেকোনো সড়কে এ ধরনের সাইনবোর্ড থাকলে তা সরাতে হবে বলে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নজরে আনার জন্য তিনি প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান। আর কোথাও যদি সাইনবোর্ড থাকে, তাহলে তিনি তাঁকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।