র্যাব কর্মকর্তা মুনিরুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনে ডাকাতি হচ্ছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র মহাসড়কে সাধারণ যাত্রী ও বিদেশফেরত প্রবাসীদের গাড়িতে ডাকাতি করে তাঁদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। অনেক সময় ডাকাতদের হামলায় যাত্রীদের আঘাতসহ হত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে। এতে সাধারণ যাত্রী ও চালকদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে মহাসড়কে নিয়মিত টহল দেওয়া শুরু করেছে র্যাব।
গতকাল রাতে গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতেরা হলেন মো. সুজন (২০), মো. রাসেল (২৭), মো. আলাউদ্দিন (১৯), বাদশা হোসেন (২৩), সাব্বির (১৮), হাবিবুর রহমান (১৯), মো. মিন্টু (২৩) ও মো. সিয়াম (১৯)।
সংবাদ সম্মেলনে মুনিরুল আলম বলেন, র্যাবের একটি দল টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে করতে কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত যায়। দাউদকান্দি থেকে ফেরত আসার পথে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার চর বাউসিয়া এলাকায় র্যাবের নীল রঙের মাইক্রোবাসটি যানজটে আটকা পড়ে। তখন ১০-১২ জন ডাকাত র্যাবের গাড়ি ঘেরাও করেন। এ সময় সাদাপোশাকে থাকা র্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া দিয়ে দলনেতাসহ ৮ ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করেন। অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জন ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে যান।
র্যাব কর্মকর্তা মুনিরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। ডাকাত সরদার সুজন ও তাঁর সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিলেন। গত দুই বছরে তাঁরা এই মহাসড়কে ৫০টির বেশি ডাকাতি করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।