সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে কিশোরগঞ্জে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অসামান্য অবদান এবং ‘ওয়ান-ইলেভেনের’ সময় তাঁর সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা জাতি চিরকাল স্মরণ করবে।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণসভায় কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সৈয়দ আশরাফের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরের বীরদামপাড়ায়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম প্রমুখ।

এম এ আফজল বলেন, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যেভাবে নির্লোভ ও সৎভাবে জীবন যাপন করেছেন, তা সচরাচর দেখা যায় না। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ছিলেন।

সৈয়দ আশরাফের স্মৃতিচারণা করে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম বলেন, সাধাসিধে জীবনযাপনে অভ্যস্ত সৈয়দ আশরাফ ছিলেন নির্লোভ ও নিরহংকারী। তাঁর মধ্যে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ দেখা যায়নি। ছোট-বড় সবাইকে সম্মানের চোখে দেখতেন তিনি।

এর আগে সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে স্থাপিত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় কিশোরগঞ্জ-১ (সদর, হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া নূরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর মেয়র, জেলা কৃষক লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আশরাফুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া হয়।

এ ছাড়া সৈয়দ আশরাফের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরের বীরদামপাড়ায় দোয়া, কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদেও দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু হয়।