রংপুরে মডার্ন মোড়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

রংপুর জেলার মানচিত্র

রংপুর নগরের মডার্ন মোড়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের দুটি পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন পাঁচজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মডার্ন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, মডার্ন মোড় এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের চাঁদার টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মডার্ন মোড় এলাকায় প্রতিদিন কয়েক শ বাস ও ট্রাক পার্কিং করা থাকে। এই স্থানের নিয়ন্ত্রণ এবং চাঁদার টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক মোক্তারুল ইসলাম ওরফে বাবুর অনুসারীদের সঙ্গে তাজহাট থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন হোসেন এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বি হোসেন অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ লাগে। এ সময় একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে আমজাদ হোসেন, আখতারুজ্জামান ও আলতাব হোসেনসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ওই তিনজনই রাব্বি হোসেনের অনুসারী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় গতকাল রাতে ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হোসেন বাদী হয়ে তাজহাট থানায় মামলা করেছেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক মোক্তারুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২০ থেকে ২৫ জনকে। পরে পুলিশ মোক্তারুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ বিষয়ে রাব্বি হোসেন বলেন, ‘আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় বাবুর লোকজন। আমি এ ঘটনায় রাতেই একটি মামলা করেছি।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১১ আগস্ট রাতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক মোক্তারুল ইসলামকে গাড়ি পার্কিং ও উঠানো চাঁদার ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে মডার্ন মোড় এলাকায় কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। সে সময় গুরুতর আহত মোক্তারুলকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনার জেরেই এই সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের রাব্বি হোসেনের করা মামলায় গতকাল রাতে মোক্তারুলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।