চুয়াডাঙ্গায় কৃষক লীগ সভাপতির বাড়ি ও কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের বাড়ি–সংলগ্ন ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। রোববার সন্ধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের বাড়ি ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা গ্রামে হামলার এই ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা তাঁর বাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে। ঘটনার সময় গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় তাঁর স্ত্রী নাজু বেগম ও গৃহকর্মী আকাশ হোসেন বাড়িতে ছিলেন। গোলাম ফারুক মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান।

গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার প্রথম আলোকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা-সদর একাংশ) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালার পক্ষে তিনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এ জন্য তাঁর বাড়ি ও কার্যালয়ে হামলা করা হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নোমিনেশন ঘোষণার পরপরই আমার বাড়িতে ও বাড়ি-সংলগ্ন ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা অনেক চেয়ার ভাঙচুর করেছে। বাড়িতে কোপটোপ মেরেছে। নব্য আওয়ামী লীগের লোকজন এই হামলা করেছে।’

হামলার খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান সরেজমিন পরিদর্শন করেন। মাহাব্বুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাড়িতে হামলা করার অভিযোগ সঠিক নয়। বাড়ির বাইরে থাকা কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ওরফে ছেলুন আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। ১৯৯১ সাল থেকে দলীয় মনোনয়নে তিনি ছয়বার সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেতে সংসদ সদস্যসহ ১৬ জন ফরম কিনেছিলেন।