ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামে নারীদের জন্য ছিল পৃথক জামাত

ঈদের নামাজ শেষে নারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। আজ সকালে চট্টগ্রামের জিমনেশিয়াম মাঠেছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার নারীদের জন্য পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টায় নগরের কাজীর দেউড়ির স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমান। নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মানুষের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।

এ মাঠে নারীদের পাশাপাশি পুরুষের জন্য ছিল আলাদা নামাজের ব্যবস্থা। এখানে নামাজ আদায় করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। এতে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীরা অংশ নিয়েছেন। ভবিষ্যতেও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে। নামাজ শেষে নারীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।

এখানে নামাজ আদায় করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন, সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টি নেতা সোলায়মান আলম শেঠ, বিএনপি নেতা সাঈদ আল নোমানসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ঈদের নামাজ উপলক্ষে মসজিদ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মসজিদ ও এর আশপাশে পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় ছিলেন।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন মসজিদটির পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আহমদুল হক।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ছাড়াও নগরের আরও ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৭টায় বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মসজিদগুলো হচ্ছে লালদীঘির পাড় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শাহি জামে মসজিদ, হজরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরু বাজার জামে মসজিদ এবং সাগরিকা এলাকার মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় মসজিদ ও ঈদগাহে স্থানীয় লোকজন ঈদের জামাত আয়োজন করেন।