কয়রায় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের বিপুল কুমার সরকার
ছবি: প্রথম আলো

খুলনার কয়রা উপজেলায় সুন্দরবনের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার দুপুরে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের বিপুল কুমার সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বিপুল কুমার বলেন, ‘উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি গ্রামে আমাদের বাড়ি। এলাকাটি সুন্দরবনের নিকটবর্তী। ২০২২ সালের ১৪ জুন রাতে সুন্দরবন থেকে একটি বন্য শূকর লোকালয়ে প্রবেশ করে। ওই দিন রাত আটটার দিকে আমার মা ঘরের বাইরে গেলে তাঁর পায়ে শূকরটি কামড়ে দেয়। এ সময় মায়ের চিৎকারে গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে চারপাশ ঘিরে বন্য শূকরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। খবর পেয়ে সুন্দরবনের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের বনরক্ষীরা মৃত বন্য শূকরটিকে নিয়ে যান। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান জানেন। তারপরও কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা ফারুকুল আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন।

বিপুল কুমার আরও বলেন, চাঁদার দাবি করা টাকা দিতে না চাইলে তিনি আমাকে ও আমার বাবা দয়াল সরকারকে আসামি করে হয়রানিমূলক মামলা করেন। ওই মামলায় আমরা জামিন পেলে ফরেষ্ট কর্মকর্তা ফারুকুল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। পরে নিষিদ্ধ সময় কাঁকড়া আহরণের অভিযোগে ভিন্ন একটি মামলায় আমাকে ৩ নম্বর আসামি করেন তিনি। অথচ আমি কখনোই সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণে যাইনি। এই হয়রানিমূলক মামলায় আমি আটক হয়ে বিনা দোষে এক সপ্তাহ জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছি।’

বিপুল কুমার বলেন, ‘বন কর্মকর্তা ফারুকুল আমাকে আরও মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতে পারেন বলে আমি আশঙ্কা প্রকাশ করছি। আমি সুষ্ঠু তদন্ত করে ওই বন কর্মকর্তার বিচার দাবি করছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে ফারুকুল বলেন, ‘আমার সঙ্গে বিপুল কুমারের ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।’