মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের তালা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন কর্মী। শুক্রবার দুপুরে শহরের তুষখালী সড়কেছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন কর্মী। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের তুষখালী সড়কের কার্যালয়ের শাটারে তিনটি তালা মারা হয়।

মঠবাড়িয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ুন কবির জানান, আজ বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন কর্মী কার্যালয়ে তিনটি তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। বিকেল চারটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তালা লাগানো দেখতে পান। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁরা জেনেছেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা তালা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কার্যালয় এলাকার এক ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের কর্মী প্রভাত রায়ের নেতৃত্বে একদল যুবক বিএনপির কার্যালয়ে তালা দেন।

প্রভাত রায় আওয়ামী লীগের কর্মী ও মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওটা (বিএনপির কার্যালয়) তালা মারা লাগছে। তাই মারছি।’ মঠবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, ‘প্রভাত রায় আমাদের দলের সমর্থক। তবে বিএনপির কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা অবগত নই।’

মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির দুটি পক্ষ আছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলাল ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ুন কবির। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু বকর সিদ্দিক। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দুই পক্ষ কর্মসূচির আয়োজন করে। এর মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়ায় এক পক্ষ অনুষ্ঠান করতে না পারলেও অন্য পক্ষ কর্মসূচি পালন করেছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের শান্তিপূর্ণ মিলাদ মাহফিলেও বাধা দিচ্ছে।’

জানতে চাইলে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তাঁদের জানা নেই। এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।