নদে ঘুরতে গিয়ে স্পিডবোট ডুবে শিশুসহ নিখোঁজ ৪, বিয়েবাড়িতে বিষাদের ছায়া
নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার ধনু নদে বাল্কহেড (স্টিলের তৈরি মালবাহী নৌকা) ও জেলে নৌকার সঙ্গে বিয়েবাড়ির স্পিডবোটের সংঘর্ষে অন্তত চারজন ছয় ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন তিনজন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনই শিশু।
আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাঁচহাট চরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খালিয়াজুরি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থাকা মোহনগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ কাদের খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিখোঁজ চারজন হলো খালিয়াজুরির আন্ধাইর গ্রামের স্বপন মিয়ার মেয়ে মোছা লাইলা আক্তার (৭), মোফায়েল মিয়ার মেয়ে ঊষামণি (৫), সামছু মিয়ার মেয়ে সামিয়া (১১) ও নবাব মিয়ার মেয়ে মোছা শিরিন (১৮)। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিরা হলেন হেলিম মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৩০), ছাত্তার মিয়া (৬০) ও ছাত্তারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (১৮)। আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রউফ জানান, আজ আন্ধাইর গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে রানা মিয়ার বিয়ে উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা থেকে স্পিডবোটটি ভাড়া করে আনা হয়েছিল। এটিতে চড়ে বরসহ বরযাত্রীদের ইটনা উপজেলার মৃগা গ্রামে কনের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। বরযাত্রীরা রওনা হওয়ার আগমুহূর্তে বেলা একটার দিকে বিয়েবাড়ির প্রায় ১৫ জন উৎসুক নারী ও শিশু স্পিডবোটটি নিয়ে হাওরে ঘুরতে যান। এ সময় ধনু নদে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাল্কহেড ও অপর একটি জেলে নৌকার সঙ্গে স্পিডবোটটির সংঘর্ষ ঘটে। তখন জেলে নৌকার জেলেরাও দ্রুত স্পিডবোটে উঠতে গেলে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এতে ওই চারজন নিখোঁজ ও তিনজন আহত হন। বাকিরা সাঁতার কেটে রক্ষা পান। দুর্ঘটনার পর বিয়েবাড়িতে বিষাদ নেমে আসে। বিয়ের অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।
খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকবুল হোসেন বলেন, মদন উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।