দাদির লাশ বাড়িতে নেওয়ার পথে নাতির প্রাণ গেল সড়ক দুর্ঘটনায়

দুর্ঘটনাকবলিত লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরশহরের নূরজাহানপুর এলাকায়
ছবি: ফায়ার সার্ভিসের সৌজন্যে

লাশবাহী গাড়িতে দাদির মরদেহ নিয়ে চালকের পাশে বসে বাড়ি ফিরছিলেন হৃদয় মাহীন ওরফে আলভি (২৭)। হঠাৎ মহাসড়কে দাঁড়ানো একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় লাশবাহী গাড়িটি। মুহূর্তের মধ্যে দুমড়েমুচড়ে যায় গাড়ির সামনের অংশ। ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির চালক ও মাহীনকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে চিকিৎসক মাহীনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরশহরের দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নুরজাহানপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালের লাশবাহী গাড়ির চালক মিঠু মিয়া (৩৫)। মাহীন দিনাজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বালুবাড়ি মহল্লার মোকতাদুর রহমানের ছেলে ও এলজিইডি সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন) শফিকুর রহমানের ভাতিজা।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিরঞ্জন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বাঁ পাশে দিনাজপুরমুখী একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। লাশবাহী গাড়িটি ঘোড়াঘাট পৌরশহরের নুরজাহানপুর এলাকায় পৌঁছে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লাশবাহী গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গাড়ি থেকে গুরুতর আহত যুবক মাহীন ও চালক মিঠু মিয়াকে বের করেন এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত লাশবাহী গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাকচালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে গেছেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশবাহী গাড়িতে থাকা বৃদ্ধার মরদেহ ও দুর্ঘটনায় নিহত যুবকের মরদেহ তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।