টেকনাফ সীমান্তে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে কাল রাতেও

বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার চৌধুরী পাড়া সীমান্তফাইল ছবি

মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। দুই পক্ষই পরস্পরের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সীমান্ত পেরিয়ে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় প্রায় ৪০টি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের গ্রামগুলো। সীমান্ত অঞ্চলের লোকজন বলছেন, মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের উত্তরে নাকফুরা গ্রামে এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে গতকাল রাত ১১টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোনো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি।

সীমান্তের একাধিক সূত্রের দেওয়া খবর অনুযায়ী, গত রোববার থেকে সরকারি বাহিনীর অবস্থানে হামলা বাড়িয়েছে আরাকান আর্মি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মংডু টাউনশিপের কাছাকাছি অবস্থিত মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একটি ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নেয় বলে জানা গেছে। এ–সংক্রান্ত বেশ কিছু খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা মিয়ানমারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, টানা দেড় মাসের বেশি সময় ধরে রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে আরাকান আর্মি।

ইতিমধ্যে মংডু টাউনশিপের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বপাশের রাচিডং টাউনশিপসহ ১০টির বেশি থানা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে টিকতে না পারে সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য। তাঁরা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) হেফাজতে রয়েছেন। এর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁদের সবাইকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

এদিকে, মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সীমান্তে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।