মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরালের জেরে আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল খুন: পুলিশ

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি। আজ রোববার সকালে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলার আসামি কাজী আমান উল্লাহ ও আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে খাগড়াছড়ির পানছড়ি থানার লৌহজং এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি কাজী জহিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে এনামুলের দ্বন্দ্ব চলছিল। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, এলাকার মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটি নিয়ে এই দ্বন্দ্ব চলছিল। সবশেষ জহিরুলের মাদক সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এই দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। এই কারণে এনামুলকে হত্যা করা হয়।

এনামুল হক দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের আলেখারচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে। গ্রেপ্তার দুজনও একই এলাকার বাসিন্দা। এর মধ্যে আমান মামলার ২ নম্বর ও সাঈদ ৩ নম্বর আসামি।

আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক
ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে হত্যা মামলার চার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি কাজী নিজাম উদ্দিন (৫৫) ও ১০ নম্বর আসামি জাকির হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ থেকে গত শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে বের হন এনামুল হক। এ সময় কাজী জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে আমান ও সাঈদ এনামুলের গলায় ছুরিকাঘাত করেন। এরপর হাসপাতালে এনামুল মারা যান। এ ঘটনায় এনামুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সকালে খাগড়াছড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আমান ও সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আমান উল্লাহর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দত্তসার দিঘির ১০০ গজ উত্তরে চট্টগ্রামমুখী লেনের পাশ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, জহিরুল, আমান ও সাঈদের পরিকল্পনায় ও অংশগ্রহণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।