নৌকাকে সমর্থন জানিয়ে ফটিকছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। আজ দুপুরে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফের গাউছিয়া মঞ্জিলেছবি সংগৃহীত।

নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইজভান্ডার দরবার শরিফের গাউছিয়া মঞ্জিলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন, ‘১৪–দলীয় জোটের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফটিকছড়িতে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তাঁর প্রতি সম্মান জানানো আমার নৈতিক দায়িত্ব। ফটিকছড়িতে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে থাকলে ভোটের সমীকরণ অন্য রকম হবে। আমার প্রাপ্ত ভোট নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে বাধা হতে পারে।’

নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী আরও বলেন, ‘তরীকত ফেডারেশন সারা দেশে ৪২টি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শুধু ফটিকছড়ি আসন থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম নৌকাকে সমর্থন জানিয়ে।’

কোনো চাপে পড়ে নির্বাচন থেকে সরে আসছেন কি না, তা জানতে চাইলে সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ছেলে ও তরীকত ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো চাপে নয়। নৌকাকে ভালোবেসে এবং নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আমার বাবা সরে দাঁড়িয়েছেন।’

আওয়ামী লীগের শরিক দল হিসেবে তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ফটিকছড়িতে নির্বাচন করে আসছেন। নির্বাচন সামনে রেখে লিবারেল ইসলামিক জোট নামে ছয় দলের একটি জোটও গঠন করেছেন তিনি। নজিবুল বশর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে দল বদল করে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। একই বছরের ১২ জুনের নির্বাচনে নজিবুল পরাজিত হন। নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রয়াত রফিকুল আনোয়ার।

২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে রফিকুলের কাছে আবার পরাজিত হন নজিবুল। এরপর বিএনপি ছেড়ে তিনি গঠন করেন তরীকত ফেডারেশন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক তরীকত ফেডারেশন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। ফটিকছড়ি থেকে মোট চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নজিবুল।