ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন শিগগিরই সংসদে উঠছে: জুনাইদ আহ্মেদ পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য–উপাত্ত বিদেশে নিয়ে কোটি কোটি ডলারে বিক্রি করে আমাদের অজান্তেই ব্যবসা করছে গুগল, ফেসবুকের মতো কোম্পানি। এ জন্য ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন করার বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই জাতীয় সংসদে এ আইন পেশ করা হবে।’
আজ শুক্রবার যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ডেটা সেন্টার ‘সাইফার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহ্মেদ এ কথা বলেন। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাকজেনটেক পিএলসি স্থাপন করেছে প্রিফ্যাব্রিকেটেড টিয়ার ফোর ডেটা সেন্টার ‘সাইফার’।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আলু-পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য যেমন হিমাগার প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি ইন্টারনেটের ডেটা (তথ্য-উপাত্ত) সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ ডেটা সেন্টার প্রয়োজন। বেসরকারি পর্যায়ে দেশে প্রথমবারের মতো টিয়ার ফোর ডেটা সেন্টার স্থাপন করেছে অ্যাকজেনটেক। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের মানুষের ডেটা এখন দেশেই সংরক্ষণ করা যাবে।’ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য যেমন তেলের খনি ব্যবহার করে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে, বাংলাদেশেরও মানুষের তথ্য ব্যবহার করে আর্থিকভাবে তেমন সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশে এখন ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে বিস্ময়কর ব্যাপার।’
বেসরকারি পর্যায়ে দেশে প্রথমবারের মতো টিয়ার ফোর ডেটা সেন্টার স্থাপন করেছে অ্যাকজেনটেক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অ্যাকজেনটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদিল হোসেন নোবেল, রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি, রবির চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম প্রমুখ।
অ্যাজেনটেক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আদিল হোসেন নোবেল বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে এই ডেটা সেন্টার (সাইফার) একটি মাইলফলক। বড় পরিসরে ডেটা সেন্টারের অভিজ্ঞতা পুঁজি করে দেশের কারিগরি উৎকর্ষের জন্য স্মার্ট ডেটা ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সাইফার।’
রবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাকজেনটেকের এই সাইফার দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রিমিয়ার ডেটা সেন্টার হিসেবে সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা, নিরাপত্তা ও কার্যকর আস্থার নিশ্চয়তা দেয় সাইফার। ডিজিটাল ক্ষেত্রে যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যশোরে ১৬ হাজার ৫০০ বর্গফুটের এই ভবনে আছে পাওয়ার ব্যাকআপ, অ্যাডভান্সড কুলিং মেশিনারিসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সাইফারের কাজ করে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। ডিজিটাল অবকাঠামোর মান নিরূপণে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের আপটাইম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে সম্মানজনক টিয়ার ফোর সনদ অর্জন করেছে সাইফার। নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎসহ অন্য সব প্রযুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।