সেলুনে ঢুকে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় সেলুনে ঢুকে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
নিহত যুবলীগ কর্মীর নাম রাসেল সরদার (৩৮)। অভিযোগ উঠেছে, সাইফুল মাদবর নামের এক ব্যক্তি পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁর কয়েকজন সমর্থক নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ডামুড্যা থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, ইসলামপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকার রাসেল সরদার মাছ চাষ করতেন। এলাকায় ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তাঁর বিরোধ চলছিল সাইফুল মাদবরের সঙ্গে। ওই বিরোধ নিয়ে কয়েক দফায় দুই পক্ষর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার দুপুরে রাসেল সরদার বাড়ির পাশে ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় একটি সেলুনে চুল-দাড়ি কাটছিলেন। ওই সময় সাইফুল মাদবর ও তাঁর লোকজন রাসেলের ওপর হামলা চালান। তাঁরা দেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যান স্বজনেরা। ভর্তি করা হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
রাসেলের বোন ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘সাইফুল দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাইয়ের ব্যবসা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করতে ছিল। ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপির কিছু লোকজন নিয়ে নির্মমভাবে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাইয়ের দুই সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী এখন দুই শিশু নিয়ে কোথায় যাবে? আমরা ওই হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।’
ঘটনার পর থেকে সাইফুল এলাকায় নেই। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তাঁর স্বজনেরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, রাসেল সরদারের সঙ্গে ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অনেক দিন ধরে সাইফুলের বিরোধ চলছিল। সাইফুল ও তাঁর সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।