২৩ দিন বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
ফাইল ছবি

জ্বালানিসংকটে ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর আবার উৎপাদনে গেছে কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়। উৎপাদনের পর কেন্দ্র থেকে রাতেই ২৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়।

এর আগে কয়লাসংকটের গত ২৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় উৎপাদন বন্ধ ছিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। আমদানি করা কয়লার সংকটে বারবার হোঁচট খাচ্ছে কেন্দ্রটি। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসার পরে এই কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হলো।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, গতকাল রাতে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সফলভাবে সরবরাহ করা হয়েছে। ২৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা গ্রিডে দেওয়া হচ্ছে। চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন

১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে। চুক্তির প্রায় ১০ বছর পর গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু কয়লার অভাবে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম দফায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। মূলত, ডলার-সংকটে ঋণপত্র খুলতে না পারায় কয়লা আমদানি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এর জেরে কয়লার অভাব দেখা দেয়।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট থেকে সক্ষম ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদনে দিনে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টন কয়লা লাগে। সে হিসাবে এখন ১১ থেকে ১২ দিনের কয়লা আছে। এই কয়লা শেষ হওয়ার আগেই পরের জাহাজটি দেশের বন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।