ধর্মপাশায় মন্দিরের জায়গা দখলের অভিযোগ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সানবাড়ী হরিবাসর মন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি কমরেড চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওই মন্দিরের প্রায় এক শতক জায়গা বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার তালুকদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী ও ইউএনওর কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সানবাড়ী গ্রামে দুই শতাধিক হিন্দু পরিবার রয়েছে। ২০০৪ সালে ওই ইউনিয়নের সানবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা অবনীকান্ত তালুকদার তাঁর রেকর্ডীয় চার শতক ভূমি ওই গ্রামের সর্বজনীন হরিবাসর মন্দিরের নামে দান করেন। এর সাত-আট বছর আগে থেকেই একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে স্থানীয় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা সেখানে হরিনাম সংকীর্তনযজ্ঞসহ ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান করছেন। গত বছরের শুরুর দিকে ওই অস্থায়ী হরিবাসর মন্দিরের পাশের নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী রাধাচরণ সাহা রায় মন্দিরের এই অস্থায়ী ঘরটিকে পাকা ভবন নির্মাণ করে দেন। প্রায় পাঁচ বছর আগে ওই মন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন একই গ্রামের বাসিন্দা কমরেড চৌধুরী। গত রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দুজন লোক নিয়োজিত করে ওই হরিবাসর মন্দিরের প্রায় এক শতক জায়গা বাঁশের বেড়া দিয়ে তিনি দখল করে নেন।
অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘সানবাড়ী হরিবাসর মন্দিরে এত দিন সবকিছু ঠিকঠাকভাবে চলে এলেও গত রোববার সকালে মন্দিরের প্রায় এক শতক জায়গা কমরেড চৌধুরী অবৈধভাবে দখল করে নেন। এ অবস্থায় সেখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে আমি ইউএনও স্যারের কাছে সানবাড়ী গ্রামের হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
সানবাড়ী হরিবাসর মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র দাস বলেন, কমরেড চৌধুরী এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। তাঁকে বাধা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি কমরেড চৌধুরীর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর ভাই সম্রাট চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের নিজেদের জায়গায় বেড়া দিয়েছি।’
ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’