চৌদ্দগ্রামের সেই অস্ত্রধারীর রাইফেলের লাইন্সেস বাতিল

অস্ত্র হাতে মোস্তফা মনিরুজ্জামান
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহজালাল মজুমদারের ওপর হামলার পর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হওয়া মোস্তফা মনিরুজ্জামানের (জুয়েল) অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মনিরুজ্জামান চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নালঘর গ্রামের মৃত আলী আকবর মজুমদারের ছেলে।

মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সই করা আদেশে বলা হয়, গত ১৪ জুলাই মোস্তফার নিজের আগ্নেয়াস্ত্র (লাইসেন্স নম্বর-১৫৪৭) হাতে রাখা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি অস্ত্র দিয়ে সাধারণ জনগণকে ভয়ভীতি দেখানোয় তাঁর মালিকানাধীন আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য মতামত প্রদান করা হয়েছে। এ অবস্থায় তাঁর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হলো।

প্রসঙ্গত ১৪ জুলাই বিকেলে শাহজালাল মজুমদারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠে মোস্তফার বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনার পর মোস্তফার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, মোস্তফা মনিরুজ্জামান উপজেলার একটি রেস্তোরাঁর সামনে একটি মেশিনগান এক হাতে নিয়ে আরেক হাতে সিগারেট টানছেন।

আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি অস্ত্র হাতে হেঁটে যাচ্ছেন। পরের দিন রাতে তাঁর স্ত্রী ফারজানা হক চৌদ্দগ্রাম থানায় পয়েন্ট ২২ বোরের জামার্নির তৈরি রাইফেলটি জমা দেন। ১৭ জুলাই রাতে রাজধানীর বনানী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির আগের তিনটি মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। ওই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরের দিন ১৮ জুলাই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, মোস্তফা মনিরুজ্জামানের স্ত্রী ফারজানা হক ৮৬টি গুলিসহ অস্ত্রটি জমা দেন। এখন অস্ত্রের লাইন্সেস বাতিল হলো।