আয়োজন শেষে হঠাৎ বন্ধ করা হলো সোনাডাঙ্গা আ.লীগের কর্মিসভা

নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন হচ্ছে জেনে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের কর্মিসভা বন্ধ করে দেন দলটির নেতারা। শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা নগরের গল্লামারী মোড়ে
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা নগরের গল্লামারী মোড়ে সড়কের এক পাশ বন্ধ করে তৈরি করা হয়েছিল প্যান্ডেল। প্যান্ডেলের মধ্যে ছিল সারি সারি লাল চেয়ার। আশপাশ এলাকায় লাগানো হয়েছিল ডজনখানেক মাইক। মঞ্চের এক পাশে টাঙানো ব্যানারে লেখা ছিল—কর্মিসভা, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ।

শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এ কর্মিসভা। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। সিটি নির্বাচনের আগে এ ধরনের সভা-সমাবেশ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল জানতে পেরে বিকেল পাঁচটার দিকে আওয়ামী লীগের নেতারা কর্মিসভা বন্ধ করে দেন। সন্ধ্যায় সরিয়ে নেওয়া হয় সেখানকার সব মালামাল।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক বন্ধ করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ছাড়া আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ম নেই। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে (তালুকদার আবদুল খালেক) জানালে তিনি উদ্যোগী হয়ে সভা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বুলু বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যায় কর্মিসভা আহ্বান করা হয়েছিল। সেখানে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সিটি মেয়রের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে বিকেলে তাঁরা যখন জানতে পারেন, এটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল, তখন কর্মিসভা বন্ধ করে দেন। প্যান্ডেল থেকে চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

১৬ মে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া শেষ দিন জানিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার বিকেল পর্যন্ত মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।