সিলেট রেলস্টেশনে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি মহিউদ্দিন রনির

ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের নিয়ম বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করছেন মহিউদ্দিন রনি। শুক্রবার রাতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্দোলন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী হয়রানি বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করেছেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এবং ট্রেনের অভ্যন্তরে যাত্রীদের কাছে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করার নিয়ম লেখা এ প্রচারপত্র বিলি করেন তিনি। পরে রাতেই উপবন এক্সপ্রেসে করে ঢাকায় ফিরে যান রনি।

এর আগে গত বুধবার ঢাকা থেকে সিলেটে আসেন মহিউদ্দিন রনি। প্রচারপত্র বিলি করার সময় যাত্রীদের উদ্দেশে মহিউদ্দিন বলেন, ট্রেনে কেউ যাত্রী হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার হলে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন।

কেউ অভিযোগ করে ফল না পেলে তাঁকে ই–মেইল করারও আহ্বান জানান রনি। তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগ করার পর প্রয়োজনে আমাকে ফোন দেবেন। আমি হয়রানির শিকার যাত্রীদের পক্ষে থেকে কাজ করব। সবাইকে অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আমরা দুর্নীতিমুক্ত ও অব্যবস্থাপনামুক্ত রেলওয়ে স্টেশন দেখতে চাই।’

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে তেমন কোনো অব্যবস্থাপনা লক্ষ করেননি উল্লেখ করে মহিউদ্দিন রনি বলেন, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্বে অবহেলা করতে দেখা যায়নি। তবে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রি করার চেষ্টাকালে একজনকে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিলেট স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ স্টেশনে কোনো দুর্নীতি বা টিকিট কালোবাজারির ঘটনা নেই। সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।’

টিকিটের বেশি দাম চাওয়ায় একজনকে আটক করার বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি এক যাত্রী যাত্রা বাতিল করে টিকিট কাউন্টারে ফেরত দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী যাত্রার আগমুহূর্তে কেউ টিকিট বাতিল করলে টাকা ফেরত পাবেন না। সেটি জানানোর পর ওই ব্যক্তি স্টেশনের সামনে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করতে চাচ্ছিলেন। ৩২০ টাকার টিকিটে বাড়তি দাম চাওয়ার অভিযোগে কয়েকজন তরুণ তাঁকে আটক করে স্টেশনমাস্টারের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে শুনেছি।’