সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোভন আহত
নিজ জেলা কুড়িগ্রাম থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ওরফে শোভন। আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় রেজওয়ানুল হক শোভনকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় ১১টি সেলাই দিতে হয়েছে। অবস্থা শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এ কে এম বানিউল আনাম প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোভনের সঙ্গে কারে তাঁর স্ত্রী তোহফা সাদিয়া ওরফে বিথি চৌধুরী ও এক বন্ধু ছিলেন। তবে তাঁরা দুজন অক্ষত আছেন।
বানিউল আনাম জানান, গতকাল দিবাগত রাতে কুড়িগ্রাম থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। সকাল ছয়টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে তাঁদের প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন শোভন। দুর্ঘটনার পরপর মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে যান। তবে মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জাকারিয়া রানা প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় আহত রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে রাখা হয়েছে। সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রেজওয়ানুল হক দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাঁর মাথায় সার্জারি করে তিন থেকে চার সেন্টিমিটার গভীর ১১টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। তবে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস বেলা পৌনে একটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাইকে (রেজওয়ানুল হক) দুপুর একটার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।’