প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারের পর জানা গেল তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

গ্রেপ্তার মনির হোসেন নিজেকে আজাদ শেখ হিসেবে পরিচয় দিতেন
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ প্রতারণা মামলায় ৭ ফেব্রুয়ারি আজাদ শেখ (৩৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, আজাদ শেখের প্রকৃত নাম মনির হোসেন। তিনি একটি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। পরিচয় গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পীরজাদা শেখ মোস্তাছিনুর রহমান প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ওই ব্যক্তি নিজেকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে আজাদ শেখ নামে পরিচয় দেন। এ ছাড়া তিনি নিজেকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মহিষখালি গ্রামের ছালাম শেখের ছেলে বলে দাবি করেন। ওই নাম (আজাদ শেখ) ও ঠিকানা লিখেই ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁকে ময়মনসিংহের আদালতে পাঠায়। পরে মামলায় তাঁর রিমান্ড চাওয়া হয়।

তবে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর মনির হোসেন সম্পর্কে এসব তথ্য জানতে পারেন। আজাদ শেখ হলেন মনির হোসেনের শ্যালক। মনির মূলত তাঁর শ্যালকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করতেন। ৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থেকে মনির হোসেন ও রবিউল শেখ (৩২) নামের দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় লোকজন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সোহাগী বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে মনির ও রবিউলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। কামরুল ইসলাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, সস্তায় স্বর্ণমুদ্রা কেনার প্রলোভন দেখিয়ে মনির ও রবিউল তাঁর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মনির হোসেনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর ও ফেনী থানায় মামলার তথ্য খুঁজে পাওয়া গেছে। পরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায়ও মনির হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার তথ্য পাওয়া যায়। ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর হওয়া ওই মামলায় গোপালগঞ্জের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মুকসুদপুর থানা থেকে মনির হোসেনের নামে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ওই পরোয়ানায় মনির হোসেনকে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।