বললে দাঁত দেখায়, ডাকলে সাড়া দেয় ‘সুলতান’
বললে দাঁত দেখায়, ডাকলে সাড়া দেয় ‘সুলতান’। হৃষ্টপুষ্ট চেহারার সুলতানকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। এর ওজন আট মণ। খামারের মালিক ৫ লাখ টাকা দাম হাঁকালেও বিক্রি হয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। আর সেটি কিনে ব্যবসায়ী ঈদ পর্যন্ত খামারেই রেখে দিয়েছেন।
সুলতান নীলফামারীর সৈয়দপুরের মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামার ও ডেইরি ফার্মের গরু। সেখানে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন–পালন করা হয়েছে দুই শতাধিক গরু। এর মধ্যে সুলতান সবার নজর কেড়েছে। খামারমালিক ফ্রিজিয়ান জাতের ওই গরু ও খামারের সব গরুকে চালের খুদ, ঝাউ ভাত, চোকর, নেপিয়ার ঘাস, আলু, খেসারি কলাই ইত্যাদি খাইয়ে বড় করেছেন।
নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি তিন থেকে চারবার গোসল করানো হচ্ছে গরুকে। পরিচর্যার জন্য মালিকের পাশাপাশি সাত থেকে আটজন কর্মচারী কাজ করছেন।
সৈয়দপুরের মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামার ও ডেইরি ফার্মের মালিক জামিল আশরাফ বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গরু লালন-পালন করে কোরবানির ঈদের আগে বিক্রি করে লাভবান হন তিনি। এ বছর দুই শতাধিক গরু কোরবানির জন্য প্রস্তত করেছেন। ইতিমধ্যে শতাধিক গরু বিক্রি হয়েছে খামারের। প্রতিবছরের মতো এবারও সুলতান ও শাহেনশাহ নামের দুটি গরু বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহেনশাহের কোনো দাঁত গজায়নি আর সুলতানের দুই দাঁত হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার রায় বলেন, খামারের গরু বিক্রির সঙ্গে পশুসম্পদ কর্তৃক সুস্থ ও সবল গরুর সনদ প্রদান করা হচ্ছে। জেলার সবচেয়ে বড় ও প্রাকৃতিকভাবে গরু লালন-পালনের জন্য খামারটি ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে।