শেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণ গ্রেপ্তার

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার রানা
ছবি: প্রথম আলো

শেরপুর সদর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে মো. রানা (২৬) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে শহরের খরমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রানা শহরের খরমপুর এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খরমপুর এলাকার একটি বাসায় ওই কিশোরকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে রানাকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও দুজনের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা করেন।

ধর্ষণের শিকার কিশোরের বাড়ি সদর উপজেলার একটি গ্রামে। শহরের একটি বিদ্যালয় থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা তার। ভুক্তভোগী বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ, মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মডেল পরীক্ষা দিতে গতকাল দুপুরে শহরের একটি বিদ্যালয়ে আসে ওই কিশোর। বিকেল পাঁচটার পরীক্ষা শেষ হলে সে গ্রামের বাড়িতে ফেরার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে পূর্বপরিচিত রানার সঙ্গে তার দেখা হয়। তখন রানা ও তাঁর দুই সহযোগী ফুঁসলিয়ে তাকে খরমপুর এলাকার একটি বাসার ছয়তলায় নিয়ে যান। এরপর রানা ও তাঁর সহযোগীরা স্কচটেপ দিয়ে ওই কিশোরের মুখ বেঁধে বিবস্ত্র করেন এবং ধর্ষণ করেন। এদিকে রাত হয়ে গেলেও কিশোরটি বাড়িতে না ফেরায় স্বজনেরা তার সন্ধানে বের হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্বজনেরা তাকে খরমপুর এলাকার একটি বাসার নিচতলায় আহত অবস্থায় পান। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহম্মেদ বাদল প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে গ্রেপ্তার রানাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রানা ওই কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত রানার দুই সহযোগীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।