বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার লাশটি আ.লীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবের
বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে উদ্ধার হওয়া লাশটি আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ–কমিটির সদস্য দুরন্ত বিপ্লবের (৫১) বলে জানিয়েছে পাগলা নৌ পুলিশ। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার ইলাশপুর গ্রামে। তিনি কেরানীগঞ্জে ভাড়া থাকতেন।
এ বিষয়ে পাগলা নৌ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে নদীর তীরে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছিল, লাশটি তিন থেকে চার দিন আগের। লাশটি নদীর তীরে আটকে ছিল। লাশ পচে ফুলে গেছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছিল না।
এসআই শাহজাহান আলী বলেন, গতকাল রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় লাশের ছবি দেখে সেটি নিখোঁজ দুরন্ত বিপ্লবের বলে নাক্ত করেন তাঁর ছোট বোন শ্বাশতী বিপ্লব। দুরন্ত বিপ্লব ৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় তাঁর পরিবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল।
দুরন্ত বিপ্লবের ছোট বোনের স্বামী ইমরুল খান প্রথম আলোকে বলেন, দুরন্ত বিপ্লব নিখোঁজের ঘটনায় ৯ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়। তিনি অর্গানিক কৃষি নিয়ে কাজ করতেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে তাঁর মাছের খামার ও কৃষি খামার আছে। তাঁর কোনো শত্রু ছিল না। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, বুড়িগঙ্গায় নদী থেকে উদ্ধার লাশটি দুরন্ত বিপ্লবের বলে শনাক্ত করেছেন তাঁর স্বজনেরা। লাশটি পচে গেছে। এটি দুর্ঘটনা, নাকি হত্যাকাণ্ড; তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।