নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন

আদালতের রায়
প্রতীকী ছবি

নওগাঁয় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আজ সোমবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

আজ একই আদালত পত্নীতলা উপজেলার এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আরেক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন পোরশা উপজেলার গোবরাকুড়ি গ্রামের হ্যাপী (২৫) ও পত্নীতলা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের কাজল মালী (৩৫)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি পোরশা উপজেলা কাশিতাড়া এলাকার একটি আমবাগানে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ করা হয়। ওই কিশোরী তখন একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ত। ঘটনার পর ওই ছাত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পোরশা থানায় মামলা হলে তদন্ত কর্মকর্তা গোবরাকুড়ি গ্রামের হ্যাপীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক হ্যাপীর অনুপস্থিতিতে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি মকবুল হোসেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

অন্যদিকে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ মামলা দায়েরের সাড়ে তিন বছরের মাথায় এ রায় ঘোষণা করা হলো। রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌঁসুলি মকবুল হোসেন জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ ওই নারী (৩২) তাঁর বাড়ির পেছনে শুকনা পাতা কুড়াতে গেলে কাজল মালী নামের এক ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন। ১ এপ্রিল তাঁর স্বামী একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আদালতে কাজল মালী ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

২০২২ সালে ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। চলতি বছরের ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। রায়ের সময় আসামি কাজল মালী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।