দুই কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে আটক করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রাম নগরের জাকির হোসেন সড়কের ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনেছবি: জুয়েল শীল

ডায়াবেটিক হাসপাতালের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করার প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে সড়ক অবরোধ করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। চট্টগ্রাম নগরের জাকির হোসেন সড়কের ওয়্যারলেস এলাকায় হাসপাতালের সামনের সড়ক এক ঘণ্টার জন্য অবরোধ করেন তাঁরা। ফলে সড়কটির দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের বহিষ্কৃত সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর অনিয়ম, দুর্নীতির বিচারসহ ১৪ দফা দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে গত শনিবার তাঁদের বিক্ষোভের মুখে হাসপাতালের বিভিন্ন পদে থাকা জাহাঙ্গীরের তিন আত্মীয় পদত্যাগ করেন।

ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজও হাসপাতালটির কর্মীরা হাসপাতাল এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। কিন্তু বেলা তিনটার দিকে তাঁদের দুই কর্মীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে যান বলে অভিযোগ। তাঁরা হলেন শাওন হোসেন ও সুজন দাশ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনরত কর্মীরা হাসপাতাল কম্পাউন্ড ছেড়ে সামনের জাকির হোসেন সড়ক অবরোধ করেন। দুই কর্মীকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন।

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে আটক করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রাম নগরের জাকির হোসেন সড়কের ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে
ছবি: জুয়েল শীল

ডায়াবেটিক হাসপাতালের আন্দোলনরত কর্মী রবিউল হোসেন বলেন, ‘শাওন ও সুজনকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে সড়ক অবরোধ করি। এক ঘণ্টা পর তাঁদের ছেড়ে দেয়। তারা ভালো ব্যবহার করেছেন। পরে আমরা অবরোধও তুলে নিই।’

রবিউল আরও বলেন, ‘আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলবে। আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই কর্মীকে আটক করেছিল। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়। সড়কে অবরোধের কারণে কিছুটা যানজট দেখা দিয়েছিল।

বিক্ষোভরত কর্মচারীরা বলেন, ‘অবৈধভাবে সভাপতি পদে বসেছিলেন জাহাঙ্গীর চৌধুরী। তিনি এখনো নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর আত্মীয়স্বজনকে ভালো ভালো পদে বসিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর চৌধুরী প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩১ কোটি টাকার হিসাব দেবেন না, ততক্ষণ রোগীদের কষ্ট না দিয়েই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।’