যাচ্ছিলেন আত্মীয়ের জানাজায়, লাশ হয়ে ফিরলেন এক পরিবারের তিনজন

দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ঘিরে স্থানীয়দের ভিড়। শুক্রবার সদর উপজেলার আলালপুরে ময়মনসিংহ–শেরপুর সড়কেছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত সাতজনের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনই একই পরিবারের সদস্য। অন্যজন দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশার চালক। তাঁরা এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নিতে সদর উপজেলার ঈশ্বরদীয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন।

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া ওই চারজন হলেন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুরের আশাবট গ্রামের বাবলু আহমেদ (৪৫), তাঁর স্ত্রী শিলা আক্তার (৩৫), তাঁদের ছেলে মো. সাদমান (৭) এবং একই উপজেলার অটোরিকশাচালক আলামিন সরকার (২৫)।

আরও পড়ুন

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার আলালপুর এলাকায় ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কে শেরপুরগামী আদিল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার সাত যাত্রী নিহত হন। তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে ছেড়ে আসা অটোরিকশাটি একটি মাহেন্দ্রা গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে শেরপুরগামী ওই বাসের সামনে পড়ে যায়। এ সময় বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর এক ঘণ্টার বেশি সময় ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনা-কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। লাশ উদ্ধারের পর এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক দিদারে মোহাম্মদ মাকসুদ আলম চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হবে।