সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে

ধর্ষণবিরোধী প্ল্যাকার্ড
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর ‍সুবর্ণচর উপজেলায় দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিনে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এবার মা ও মেয়েকে বেঁধে দুজনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগী নারীর মা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ দুজনকে তাঁর মেয়ে (৩২) ও নাতনি (১২) চিনতে পেরেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাউকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।

আরও পড়ুন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের রাতে সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।আলোচিত ওই ঘটনার মামলার রায়ে গতকাল সোমবার ১০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক। এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বার। আলোচিত মামলার রায়ের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই একই উপজেলায় আরেকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল।

নির্যাতনের শিকার নারীর মা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে এক ব্যক্তি সিঁধ কেটে তাঁর মেয়ের ঘরে ঢোকেন। এরপর তিনি দরজা খুলে দিলে আরও দুজন প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা তাঁর মেয়ে ও নাতনির হাত-মুখ বেঁধে ফেলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন, একজন নাতনিকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় তাঁর জামাতা বাড়িতে ছিলেন না। তিন-চার দিন ধরে তিনি কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন।

ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারীর মা
ছবি: প্রথম আলো

নির্যাতনের শিকার নারীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে দুজনকে নারী ও তাঁর মেয়ে চিনতে পেরেছেন, তাঁদের একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা। ধর্ষণের অভিযোগটি তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। ওই নারীকে কেউ ‘কথা শিখিয়ে দিয়েছে’ বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন

চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা শুনে রাতেই টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সকালে থানা থেকে পরিদর্শক (তদন্ত) ঘটনাস্থলে গেছেন। টহল দল ও পরিদর্শক (তদন্ত) থানায় ফিরে এলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।