খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খান ও বর্তমান রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক আবদুস সালাম খান এ নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হককে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আরজির উদ্ধৃতি দিয়ে আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, অভিযোগকারী নারী উপাচার্যের কার্যালয়ে কাজ করতেন। বিয়ের কথা বলে তাঁকে ধর্ষণ করেন উপাচার্য। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার। পরে উপাচার্য বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারী আদালতের শরণাপন্ন হন।

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগকারী ওই নারী প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার হিসেবে চাকরি করতেন। পরে তাঁকে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহাকরী (পিএ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহে নিজের বাড়িতে থাকেন। এর আগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনকে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে তাঁর ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আর যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটেই থাকে, তাহলে সেটি ওই নারী ও ভিসির একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার, সেটি আমার জানার কথা নয়।’