পোষা বিড়ালকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগ দিতে থানায় গেলেন মালিক

বিড়ালটির নাম ছিল লায়ন
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ শহরের খড়মপট্টি এলাকায় পোষা একটি বিড়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিড়ালটির মালিক হিল্লোল চৌধুরী। হিল্লোল ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

পরে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শহিদুল তাঁর ভুল স্বীকার করে বিড়ালের মালিক ও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল আমিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

হিল্লোল চৌধুরী বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে বিড়ালসহ দেশি-বিদেশি নানা রকম প্রাণী লালন–পালন করছেন তিনি। তাঁর বাসায় ১১টি বিড়াল রয়েছে। সারা দিন কর্মব্যস্ততার পর বাসায় এসে সময় কাটান বিড়ালগুলোকে নিয়ে। তিনি ডাক দিলে বিড়ালগুলো তাঁর কাছে ছুটে আসে। ৫ অক্টোবর তাঁর পোষা একটি বিদেশি ক্রস জাতের বিড়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। এ ঘটনায় তিনি মর্মাহত হন। এমন অবুঝ প্রাণীকে রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনাটি তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে বুধবার থানায় গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন।

হিল্লোল আরও বলেন, ‘বিড়ালটি আমার খুব শখের ছিল। ওকে লায়ন বলে ডাকতাম। এলাকার সবাই বিড়ালটিকে খুব আদর করত। আমি প্রায় সাত বছর ধরে বিড়ালটিকে লালন-পালন করেছি। আমার আরও বিড়াল আছে। আমি ওদের খুব ভালোবাসি। আমার বিড়ালটি কখনো কারও কোনো ক্ষতি করেনি। ওকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো, আমি সেটা সহ্য করতে পারিনি। তাই থানায় ওই ব্যক্তির নামে অভিযোগ করেছি। পরে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করে আমিসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।’

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও রাত সোয়া নয়টা পর্যন্ত সাড়া দেননি।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন জানান, ৫ অক্টোবর রাতে একটি পোষা বিড়াল পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ করেন বিড়ালটির মালিক ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক হিল্লোল চৌধুরী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ একই এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের বাসায় গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পেরে বিড়ালের মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর কখনো করবেন না বলেও জানিয়েছেন।