ঝিনাইদহে ১২টি বাস থেকে নামিয়ে বিএনপির কর্মীদের মারধরের অভিযোগ

মারধরের সময় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ভ্যানে করে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন। শনিবার সকালে ঝিনাইদহের বারোবাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

১০ দফা দাবিতে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে ১২টি বাসের একটি বহর থামিয়ে দলটির নেতা–কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থেকে আসা বিএনপির নেতা–কর্মীরা এই হামলার শিকার হন।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতারা বলেন, সমাবেশে যাওয়ার পথে তাঁদের গাড়িবহরটি বারোবাজারে পৌঁছালে থামানো হয়। এ সময় লাঠিসোঁটা ও হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ১২টি বাসের অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জন নেতা–কর্মীকে আহত করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাসও।

হামলায় আহত ব্যক্তিদের কয়েকজন হলেন বিএনপির কর্মী রকি হোসেন, আবদুস শুকুর, আকিব হোসেন, বাহাদুর, আমজেদ হোসেন, নাসির হোসেন, পাঞ্জু শেখ ও লিটন হোসেন। পরে তাঁরা কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বারোবাজার পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) হায়াত মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বারোবাজার বাসস্ট্যান্ডে ঝামেলা হওয়ার খবর পেয়েছেন। তাঁরা বিএনপির কর্মী কি না জানেন না। বিষয়টি দেখছেন।

আহত বিএনপির কর্মী আবদুস শুকুর প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ১২টি বাস ও ১০টি মাইক্রোবাস নিয়ে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করেন। পথে বারোবাজার এলাকায় পৌঁছালে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র হাতে একদল লোক তাঁদের গতিরোধ করে। এ সময় কয়েকটি বাস থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ৪০ জনের বেশি নেতা–কর্মীকে জখম করা হয়। এ সময় নেতা–কর্মীরা ভয়ে বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে আশ্রয় নেন। পরে পায়ে হেঁটে অনেকে যশোর সড়কের দিকে চলে যান।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমে ৫০–৬০ জনের একটি দল তাঁদের বাসের সামনে এসে গতিরোধ করে। তাঁদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় তিনি বাস থেকে নেমে কথা বলতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। প্রথমে তাঁরা কয়েকটি গাড়ির মধ্যে উঠে সবাইকে পেটাতে থাকে। পরে বাস থেকে নেতা–কর্মীদের নামিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়।