পাকুন্দিয়ায় গরুর হালদৌড় প্রতিযোগিতা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমারপুর গ্রামে হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হালদৌড় প্রতিযোগিতা। স্থানীয়ভাবে এটি গরুর মইদৌড় হিসেবে পরিচিত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারপুর গ্রামে এ প্রতিযোগিতা হয়।
হারানো গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে এলাকার যুবসমাজ। প্রতিযোগিতা দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করেছেন। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা রং ও আকারের হালের গরু মাঠে নিয়ে আসেন প্রতিযোগীরা।
প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি জোড়া হালের গরুর পেছনের মইয়ের ওপর দাঁড়িয়ে একজন কৃষক তাড়িয়ে নিয়ে যান গরু জোড়া। আর যে গরু জোড়া সবচেয়ে কম সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যে দৌড়ে গিয়ে পৌঁছতে পারবে, সেটিই হবে প্রতিযোগিতায় প্রথম।
এতে অংশ নেয় আট জোড়া হালের গরু (ষাঁড়)। স্থানীয় কুমারপুর-মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের যুবকদের আয়োজনে এ হালদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকেরা জানান, এখন থেকে প্রতিবছরই গরুর হালদৌড়ের আয়োজন করবেন তাঁরা। হারানো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করবেন। এমন আয়োজনে খুশি এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
সাবেক শিক্ষক ও কুমারপুর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবির, ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে আসা লোকজন আটটি দলে ভাগ হয়ে হালদৌড়ে অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার হালের গরু, দ্বিতীয় হয়েছে কন্দরপদি গ্রামের রফিক মিয়ার হালের গরু, তৃতীয় হয়েছে নরপুর গ্রামের মানিক মিয়ার গরু। প্রত্যেকেই একটি করে ছাগল পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতিটি গরুর হালকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে একটি করে ছাতা উপহার দেওয়া হয়।