নরসিংদীতে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের তিন যাত্রী নিহত

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন সাত যাত্রী। হতাহত ব্যক্তিরা মাইক্রোবাসের আরোহী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মহাসড়কের শ্রীফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে চালক বাদে অন্য ১০ জনই নারায়ণগঞ্জের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী। তাঁরা ওই মাইক্রোবাসে করে সিলেটের হজরত শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাইক্রোবাসচালক সাগর চন্দ্র (৩২) এবং যাত্রী এফাদুল হক (৫০) ও মো. মোস্তাকিন (১৭)। নিহত এফাদুল ও মোস্তাকিনের বাড়ি চাঁদপুর এবং সাগরের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।

আহত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভাড়া করা মাইক্রোবাসটিতে ১০ জন সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। মাজারসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁরা ঢাকায় ফিরছিলেন। রাত দেড়টার দিকে মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের শ্রীফুলিয়া এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় ভৈরবগামী পণ্যবাহী একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ওই মাইক্রোবাসের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসের তিন আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত সাতজনকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠাতে বলেন। তিনজনের লাশ হাইওয়ে ফাঁড়িতে রাখা আছে।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁরা ঢাকায় রওনা হয়েছিলেন।’
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. আবু খায়ের বলেন,

দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকচালক পলাতক। নিহত তিনজনের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।