সুন্দরবন থেকে হরিণের দুটি মাথাসহ মাংস উদ্ধার

উদ্ধার হওয়া হরিণের মাংস ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ
ছবি: প্রথম আলো

গহিন সুন্দরবনে অবৈধভাবে শিকার করা ১১ কেজি মাংসসহ দুটি হরিণের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার করেছেন খুলনার কয়রা কোস্টগার্ড স্টেশনের সদস্যরা। আজ সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সুন্দরবনের গঙ্গাচরণ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় হরিণের ২টি মাথা, ২টি চামড়া, ৮টি পা ও ১১ কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়।

সুন্দরবন–সংলগ্ন কয়রা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, উপজেলার একটি ছোট নদী পেরোলেই সুন্দরবনের গহিন জঙ্গল। পেশাদার হরিণশিকারিরা রাতের বেলায় গোপনে সুন্দরবনে ঢুকে নাইলনের দড়ির একধরনের ফাঁদ হরিণের নিয়মিত যাতায়াতের পথে পেতে রাখেন। চলাচলের সময় হরিণগুলো সেই ফাঁদে আটকে যায়। তারপর বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হরিণের মাংস বিক্রি করা হয়।

আরও পড়ুন

কোস্টগার্ড কয়রা স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, সুন্দরবন থেকে চোরা শিকারিরা হরিণ শিকার করে মাংসসহ হরিণের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে গঙ্গাচরণ খালের মুখের বাঁ পাশে অবস্থান করছে। এরপর কোস্টগার্ডের কয়রা স্টেশনের একটি টহল দল অভিযানে নামে। কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরা শিকারিরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হরিণের ২টি মাথা, ২টি চামড়া, ৮টি পাসহ ১১ কেজি হরিণের মাংস পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এগুলো বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সুন্দরবনের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, হরিণের যে মাংস ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলো মনে হচ্ছে ফ্রিজে রাখা ছিল। খুবই ঠান্ডা অবস্থায় পেয়েছেন। এ ঘটনায় আজ দুপুরে কয়রা আদালতে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।

মোবারক হোসেন আরও বলেন, কয়রা উপজেলার জোড়শিং ও আংটিহারা এলাকায় হরিণশিকারি চক্র বেশি। এই চক্রকে ধরতে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বনরক্ষীরা। শিকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।