২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

অপহরণের শিকার ৫ বাংলাদেশি জেলেকে ফিরিয়ে এনেছে বিজিবি

অপহরণের শিকার পাঁচ জেলেকে ফিরিয়ে এনেছে বিজিবি। আজ দুপুরে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া ট্রানজিট জেটি ঘাটেছবি: প্রথম আলো।

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী থেকে অপহরণের পর মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। ওই জেলেদের মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা অপহরণ করেছে বলে তাঁদের স্বজনেরা দাবি করেছিলেন। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে আরাকান আর্মির সদস্যরা জেলেদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন বলে জানা গেছে।

টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে মিয়ানমার থেকে জেলেদের স্বদেশে ফেরত আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

ফেরত আনা বাংলাদেশি জেলেরা হলেন উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ার আবদুর রহিমের ছেলে মো. আলম (২২); আবদুল মজিদের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৩) ও মো. সাইফুল মিয়া (১৭); মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বোরহান উদ্দিন (১৯) এবং চকরিয়া উপজেলার মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. রাশেদ (২৪)।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, গত সোমবার বিকেলে দিকে নাফ নদীর টেকনাফ পৌরসভাসংলগ্ন এলাকায় একটি ট্রলার মাছ ধরতে গিয়ে শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমার ‘কাইং চং’ নামক স্থানে ঢুকে পড়েন। এ সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ট্রলারসহ পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে বিজিবি আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে জেলেদের নৌকাসহ ফিরিয়ে এনেছে।

আবদুস সালম আরও বলেন, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনার পর থেকে নাফ নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। জেলেরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রায় সময়ই নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বিজিবির পক্ষ সবাইকে আবারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, নাফ নদী থেকে জেলেদের ধরে নেওয়ার বিষয়টি জানার পর যোগাযোগ করা হয়। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জের ধরে মিয়ানমারের ওই অংশ আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে।

মহিউদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনার পর আজ সকালে টেকনাফ থেকে বিজিবির একটি প্রতিনিধিদল নাফ নদীর শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়। এর কিছুক্ষণ পর নাফ নদীর মিয়ানমার জলসীমা দিয়ে একটি ট্রলারসহ পাঁচ জেলেকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি। তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।