শিবালয় থানার ওসিকে প্রত্যাহার

মানিকগঞ্জ জেলার মানচিত্র

মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনকে থানার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়। আজ সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

শিশুসন্তানকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিবালয় থানায় এক সপ্তাহ আগে লিখিত অভিযোগ দেন এক বাবা। এক সপ্তাহ পরও মামলা না হওয়ায় গত শনিবার সন্ধ্যায় আইনি সহযোগিতা পেতে থানায় যান ভুক্তভোগী ওই বাবা। এ সময় মামলা না নিয়ে উল্টো থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আরিফ হোসেন তাঁকে মারধর করে থানা থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে অভিযুক্ত আরিফকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেয় পুলিশ। এ নিয়ে আজ সোমবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ করলে তার দায়বাহিনীর নয়। পুলিশের যে সদস্য অপরাধ করেছেন তাঁর দায় ওই সদস্যকেই নিতে হবে। থানায় বিচারপ্রার্থীকে মারধরের ঘটনায় আজ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান এক অফিস আদেশে ওসি মো. শাহীনকে মানিকগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে মাদারীপুর জেলায় সংযুক্তি করে।

সোমবার সন্ধ্যার পর শিবালয় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ ফরিদ আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাতেই অভিযুক্ত এএসআই আরিফকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করা হয়।

পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, এএসআই আরিফের হাতে বিচারপ্রার্থীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত চলছে। আগামীকাল মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।