কাঁধে প্রতীকী লাশ, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল

প্রতীকী লাশ ও প্ল্যাকার্ড হাতে হানিফ বাংলাদেশিসহ পাঁচ ব্যক্তি। আজ সকাল ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ জিরো পয়েন্টেছবি: প্রথম আলো

সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলার ৭২টি উপজেলায় প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে মিছিল কর্মসূচি পালন করবেন পাঁচ ব্যক্তি। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ জিরো পয়েন্ট থেকে তাঁদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

কর্মসূচির নেতৃত্বে রয়েছেন মো. হানিফ ওরফে হানিফ বাংলাদেশি। যিনি এর আগেও একই দাবিতে প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে পদযাত্রা করেছেন। তিনি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার নিয়াজপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। তাঁর সঙ্গে থাকা অপর চারজন হলেন ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের মোহাম্মদ সৌরভ, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর নুরুল আজিম, রংপুরের পীরগাছার আবু নাসিম ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মো. আরিফ।

কর্মসূচি শুরুর দিনে তাঁরা কক্সবাজারের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় মিছিল করেন। পরে তাঁরা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁরা জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রত্যেকে প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে মিছিলের পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার মানুষকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবহিত করবেন।

হানিফ বাংলাদেশি বলেন, ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুটি দেশ। দুই দেশের সীমান্তেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের মধ্যেই এক বাংলাদেশিসহ দুজন সম্প্রতি মারা গেছেন। এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতেই তাঁদের কর্মসূচি।

হানিফ আরও বলেন, ‘সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে পদযাত্রা করেছি। আমরা চাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পর বারবার নিহত ব্যক্তিদের গরু চোরাকারবারি বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা ঠিক নয়। চোরাকারবারি হলেও গুলি করে হত্যা করতে হবে কেন?’