২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাঁচবিবি সীমান্তে এক ব্যক্তি আটক, পাসপোর্ট আইনে মামলা

পাঁচবিবি সীমান্তে আটক মিন্টুছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম উচনা সীমান্তে মো. মিন্টু মণ্ডল (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আজ শুক্রবার বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে বিজিবি ওই ব্যক্তিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ করলেও পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক নন। তাঁর বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জয়পুরহাট ২০ বিজিবির অধীন হাটখোলা বিওপির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁচবিবির পশ্চিম উচনা সীমান্তে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় সীমান্তের বাংলাদেশের ৫০ গজ অভ্যন্তরে ভারতীয় নাগরিক মো. মিন্টু মণ্ডলকে আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি বাটন ফোন, একটি ভারতীয় সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আটক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে মানব পারাপারে জড়িত এবং এ–সংক্রান্ত অপরাধে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছেন বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলাদেশি নাগরিকত্বের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবি শুক্রবার ভোরে এক ব্যক্তিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বিজিবির পক্ষ থানায় একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক নন। তাঁর বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর নাম মো. মিন্টু রহমান। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা গ্রামের মো. কাশেম উদ্দীন ও মোছা. দুলালী বেগম দম্পতির ছেলে।

ওসি আরও বলেন, তাঁরা তথ্য যাচাই করে মিন্টু বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছেন। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ নয়, পাসপোর্ট আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ২০ বিজিবির জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাহিদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, মো. মিন্টু মণ্ডল ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় বিজিবি তাঁকে আটক করেছে। মো. মিন্টু মণ্ডল ২০ বছর আগে ভারতে বিয়ে করেছেন। এখন তাঁর পরিবার ভারতে রয়েছে। আটকের সময় তাঁর কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না। থানায় দেওয়ার পর পুলিশকে তিনি তাঁর বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েছেন। মিন্টু মণ্ডল ভারতের নাগরিক বলে তিনি দাবি করেন।