ই–মেইলে মিথ্যা-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে নারীর মানহানির দায়ে যুবকের ৩ বছরের কারাদণ্ড

কারাগার
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার এক নারীর নামে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে বিভিন্ন জনকে ই–মেইল করার দায়ে এক যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মির্জা শামীম হাসান (৩৩)। তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মির্জা সেলিম রেজার ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী নারী শামীম হাসানের চাচি হন। তিনি ২০২১ সালের ২০ জুন একটি ই–মেইল থেকে বগুড়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীসহ নানা পেশার ১২৫ ব্যক্তির কাছে ওই নারীর ছবিসহ একটি ই–মেইল পাঠান। সেখানে ওই নারীর চরিত্র সম্পর্কে ‘মিথ্যা ও কাল্পনিক’ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। পরে ওই বছর ২৫ জুন ভুক্তভোগী নারী বগুড়া সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

মামলার রায়ে বলা হয়েছে, আসামি মির্জা শামীম হাসানের বিরুদ্ধে আনীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮–এর ২৫(১)/২৯(১) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই আইনের ২৫(২) ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড এবং ২৯ (২) ধারায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ইসমত আরা বলেন, ই–মেইলে মিথ্যা ও কাল্পনিক বক্তব্য পাঠিয়ে ওই নারীর মানহানি করার ঘটনা আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।