ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মামলার প্রতিবাদে ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার বিএনপির চার নেতার মধ্যে তিনজন জামিন পেয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান (৫০), পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরব আলী (৩৫) ও আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম (৪০) জামিন পান। তবে উপজেলা যুবদলের কর্মী রমজান মোল্লার (৩৩) জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘শনিবার মাগরিবের আগে ফরিদপুরের ৯ নম্বর আমলি আদালতের ভারপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের খাস কামরায় জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আমরা জামিন চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। তবে আমরা যুক্তি দেখিয়ে বলি, মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে রমজান মোল্লা ছাড়া অন্য কারও বিরুদ্ধে মারধরের নির্দিষ্ট ভূমিকার কথা এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি। তা ছাড়া মামলায় এক নম্বর আসামি খোশবুর রহমানকে করা হয়েছে হুকুমের আসামি, আর হুকুমের আসামি জামিন পেতে পারেন। শুনানি শেষে আদালত রমজান মোল্লা ছাড়া বাকি তিন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন। আদালতের আদেশে রমজানকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, নজরুল ইসলাম ছাড়া অন্য তিনজন ছিলেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গত শুক্রবার রাতে পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা বনি আমিন আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তাঁকে ও উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য এ কে এম উজ্জ্বল হোসেনকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
এ মামলার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার কলেজ রোডের চুয়াল্লিশের মোড় এলাকায় উপজেলা বিএনপির একাংশ ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের উদ্যোগ নেয়। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিনজনসহ চারজন বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে।