স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শরিফা, শেফালীসহ ৮-১০ জন কলেজছাত্রী একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যাচ্ছিলেন। এ সময় বখাটে আশিক একটি দেশীয় অস্ত্র (ছোট দা) হাতে নিয়ে তাঁদের পেছন থেকে তাড়া করেন। ভয়ে ওই ছাত্রীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় আশিক শরিফার মাথায় কোপ মারলে শরিফা হাত দিয়ে ঠেকান। এতে তাঁর ডান হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে গেছে। শরিফাকে উদ্ধার করতে শেফালী এগিয়ে এলে তাঁকে ওই ধারালো অস্ত্রের পেছনের পাশ দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তিনিও জখম হন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। শরিফা আক্তারের ডান হাতের আঙুলে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। শেফালীকে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকুল উদ্দিন বলেন, আহত ছাত্রীর হাতের আঙুলে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।

আহত শরিফা আক্তারের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁর মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে বখাটে আশিক হামলা করেছেন। তিনি থানায় মামলা করবেন।

জানা গেছে, ঘটনার পর আশিক শেখ পালিয়েছেন। তবে তাঁর বাবা সলেমান শেখ বলেন, তাঁর ছেলে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন। দুর্ঘটনাবশত এটি ঘটে গেছে।

কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিট অফিসার কাজ করছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।