ঈশ্বরগঞ্জে ব্রয়লার মুরগির পচা মাংস বিক্রি করায় বিক্রেতার কারাদণ্ড

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভ্যানে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা ৮০ কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের ফুটপাতে ব্রয়লার মুরগির পচা মাংস বিক্রি করার দায়ে আহাদ মিয়া (৩৫) নামের এক বিক্রেতাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুর রহমান তাঁকে এ সাজা দেন।

এ সময় ওই বিক্রেতাকে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং তাঁর ভ্যানে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা ৮০ কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। বিক্রেতা আহাদ মিয়া ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা এলাকার মো. রফিক মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের সাপ্তাহিক হাট ছিল। হাটের ফুটপাতে ব্রয়লার মুরগির মাংস কেটে পাত্রে সাজিয়ে বিক্রি করছিলেন দুজন বিক্রেতা। এ সময় মাংস থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে ক্রেতাদের মনে সন্দেহ জাগে। একপর্যায়ে হাটের লোকজন বিক্রেতা আহাদ মিয়াকে আটক করেন। অপর বিক্রেতা পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল আলম বাজারে আসেন। তিনি পাত্রে সাজিয়ে রাখা মুরগির মাংস মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী বলে নিশ্চিত করেন। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিক্রেতা আহাদ মিয়াকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।

হাটে আসা কয়েক ব্যক্তি বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় একশ্রেণির বিক্রেতা এসব মুরগির মাংস কেটে পাত্রে সাজিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছেন। কিন্তু মুরগিগুলো কখন কাটা হয়েছে বা আদৌ জীবিত মুরগি কাটা হয়েছে কি না, তা কেউ জানেন না।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মন্তব্য ও মাংস বিক্রেতার স্বীকারোক্তি পাওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।